ফাল্গুনে কি কৃষ্ণচূড়া ফোটে? ফুটলেই বা কী আর না ফুটলেই কী! আমাদের ব্যস্ত সময়ের ডিজিটাল বাস্তবায় কৃষ্ণচূড়ার দাম নাই। আমরা সবাই ডিজিটাল রোগী, আমাদের সবার এণ্ড্রয়েড ক্যান্সার। গুটিকয়েক ছেলে-মেয়ে থাকে, যারা রাস্তা সাঁজায়, মিছিল গোছায়, রাত ১২ টা এক মিনিটে অশ্রু ঝড়ায়। আমরা যারা প্রতিদিনের অফিসে সেদিন ছুটি পাই, শুক্রবার কিংবা শনিবারে পরলে হতাশায় অশ্রু ঝড়াই, যারা ২১ বলতে তারিখ বুঝি, ২১ বলতে তথ্য বুঝি, মুখস্থ করে চাকরী খুঁজি। আমরা মিছিলে দাঁড়াই অফিসের বস আলাদা করে বলেছে বলায়, আমরা যারা নবজাতকের মুখে বাংলার চেয়ে ইংরেজি সাজাই, বৃটিশদের ২০০ বছরের গোলামি ভুলে, এ লেভেল আর ও লেভেলের সিলেবাসে ছেলেদের টেবিল ভরাই আমরা যারা এই সময়ের অকৃতজ্ঞ, ইতিহাসকে শুধুই শেলফে সাজাই, চাকরী পেতে হাতিয়ার বানাই আমরা যারা দুপুর ১২টায় প্রভাত ফেরীতে সেলফি তুলে ফেসবুকে বয়ান চালাই আমরা যারা শহীদ দিবস কয় তারিখ ভুলে গিয়ে গুগলকে জিগাই আমরা যারা ছবিতে লাইকের আশায় সাদা পাঞ্জাবি আর সাদা-কাল সাড়িতে আলমারি ভরাই আমারা যারা আয়নার সামনে গেলে জিন্নাহর শুঁকর দেখতে পাই, আমাদের যাদের ৬৭ বছর পরে মনে হয় এতো দিনে তো সব শুকিয়ে যাবার কথা, এতো দিনে তো বরকত, শফীকদের আত্মারও গুম হয়ে যাবার কথা, তাদের ২১ তারিখ ঘুমানোই ভাল, তাদের প্রেমিকা-বউদের সাথে বলিউড হলিউড সিনেমা আর গেম অব থ্রোনস দেখাই ভাল। তাদের পা সেদিন অন্তত বাংলার মাটিতে ফেলে একে অপবিত্র না করাই শ্রেয়। না হলে যদি বাংলা মা জেগে যায়, ক্ষোভে আর ঘৃণায় কেঁপে বুক ফাটায়, তবে তো ধ্বসে যাবে তোদের কর্পোরেট দালান কারখানা, খুলে যাবে তোদের মেকি বাঙ্গালিয়ানা, মিশে যাবে তোদের ইংরেজিয়ানা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
২১ শে ফেব্রুয়ারি অনেকের কাছেই এখন শুধু ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে লাইক কামানোর উৎসব। বাংলার ইতিহাস যেন শুধুই আনুষ্ঠানিকতায় বন্দী। বাংলার বুকে এখন বাংলা মিডিয়ামের চেয়ে ইংরেজি মিডিয়ামের দাম বেশি। এসব অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরার চেষ্টা আছে কবিতায়।
০৯ মে - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
৩ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।